ডাঃ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীরের JK Lifestyle হল বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ও প্রাকৃতিক চিকিৎসার একটি নতুন উদ্যোগ। একসময়ের খ্যাতিমান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকের লক্ষ্য মেডিসিন ছাড়া রোগমুক্ত জীবন। তার কথায়, “সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি হলো জীবনধারা বদল”। দীর্ঘ দিন সার্জারি করেন তিনি, প্রায় ২৯,০০০টি সফল হার্ট অপারেশন পরিচালনা করেছেন; এখন সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রাণ-প্রাচুর্যকর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন।
JK Lifestyle মানুষের শরীরের মূল কারণ নির্ণয়ে বিশ্বাসী: আমরা শুধু ওষুধ খেয়ে উপসর্গ কমাই, কিন্তু রোগের আসল হুঁশ নেই। ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীর বলছেন, অসুখ হয়ে যাওয়ার পিছনে থাকে খাবার, জীবনযাপন, মানসিক চাপ ইত্যাদির যোগফল। তাই তার পরামর্শ রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা অর্জনে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করা – যেমন সুষম খাদ্য, নিয়মিত উপবাস (ফাস্টিং), পর্যাপ্ত ঘুম আর ব্যায়াম।
তিনি আর কাজ করছেন Health Revolution নামে নিজের ক্লিনিকে। এই ক্লিনিকটি ঢাকা–বাড্ডার আব্দুল্লাহপুর সেক্টর ২ এলাকায়, নূর টাওয়ার বিল্ডিংয়ে অবস্থিত। এখানে তিনি প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রোগী দেখেন। ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সপ্তাহের প্রতিদিনই খোলা থাকে এবং Walk-in ব্যবস্থা রয়েছে; অর্থাৎ আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার প্রয়োজন নেই। (তবে Health Revolution এর ফ্রি কাউন্সেলিং সেশনে অংশ নিয়ে ডাঃ কবীরের সাথে সরাসরি দেখা করার ব্যবস্থা থাকে।) চেম্বারের ঠিকানা: House 29/31, Noor Tower, Block D, Road 01, Sector 02, Jahurul Islam City, Aftabnagar। যোগাযোগের ফোন নম্বর ০৯৬৭৮–২৪২৪০৪।

ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে চিকিৎসা-বিদ্যাকে ছাপিয়ে জীবনপদ্ধতি দিয়ে সুস্থ থাকা। ডাঃ কবীর জানাচ্ছেন, যেসব রোগ সাধারণ চিকিৎসায় বেশ চাপ তৈরি করে, যেমন ডায়াবেটিস, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপ বা অনিদ্রা সেগুলোও জীবনপদ্ধতি বদলে অনেকাংশে নিরাময় করা যায়। প্রকৃত উদাহরণ হিসেবে, অতীতে জটিল হৃদরোগ অথবা ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন এমন রোগীরাও খাদ্যাভ্যাস ও উপবাস রুটিন মানলে ভালো ফল পেয়েছেন বলেও জানানো হয়। Health Revolution কর্তৃপক্ষ বলছেন, এই ধারণার মূল লক্ষ্য “ঔষধ ছাড়া জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে কীভাবে সুস্থ থাকা যায়” এমন আরো নানান ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
চেম্বারে সরাসরি দেখা করার জন্য রোগীদের প্রথমে অংশ নিতে হয় ফ্রি জেনারেল কাউন্সেলিং সেশন। এই সেশনে Dr. Muhammad Jahangir Kabir নিজে এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। এখানে মোটামুটি গ্রুপ ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা করা হয়, আর আপনার শারীরিক অসুবিধার সংক্রান্ত সম্পূর্ন বিবরণ তারা সংগ্রহ করে থাকেন। অংশগ্রহণকারীরা বিনামূল্যে পরামর্শ পান এবং এই কাজের মাধ্যমে বোঝা যায় কার বেশি চিকিৎসা দরকার। প্রয়োজনে ডাঃ কবীরের ব্যক্তিগত চেম্বারের জন্য তালিকাভুক্ত হন রোগীরা, অর্থাৎ সিরিয়াল দেওয়া হয় তথা dr jahangir kabir appointment এর জন্য বিশেষ সুপারিশ করা হয়। প্রক্রিয়াটি কিছুটা এরকম: প্রথমে প্রি-কাউন্সেলিং সেশনে আপনাকে আপনার অসুখের তথ্য দিতে হয়, তারপর সম্মিলিত কাউন্সেলিং-এর সময় ডাঃ কবীর জেকে লাইফস্টাইলের গাইডলাইন ব্যাখ্যা করেন। তার পর ব্যক্তিগত আলাপের জন্য একজন চিকিৎসক আপনার রিপোর্ট দেখে পরামর্শ দেন।
JK Lifestyle এর ডাঃ কবীরের এই উদ্যোগে জনরসের আস্থা বেশ দৃঢ়। তাদের মতে, প্রতিদিন ৫০০-এরও বেশি রোগী বিনামূল্যে পরামর্শ নেন ডাঃ কবীরের কাছ থেকে। এবং ৯৫ শতাংশের বেশি রোগী পুনরায় তাকে দেখাতে আসেন যা তার চিকিৎসা ব্যবস্থা সফলতার প্রতিশ্রুতি। স্বাস্থ্য রেভলিউশন ক্লিনিকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাদের মিশন “ব্যতিক্রমী প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা” দিয়ে সবার স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদান রাখা। ভিশনে তারা উল্লেখ করেছেন, “স্বাস্থ্য বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হলো একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পথ দেখানো” ।

সংক্ষেপে, জেকে লাইফস্টাইল হচ্ছে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীরের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত আন্দোলন। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বহু মানুষ জীবনধারার মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করেছে। তার মুখে এ কথাই শোনা যায়: স্বাস্থ্যকর জীবনধারার পথে হাঁটলেই অসুখকে খুব দূরে রাখা যায়। ওয়েবসাইট ও ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, ডাঃ কবীরের চেম্বার এবং হেলথ রেভলিউশন উভয়তেই মানুষ ন্যূনতম খরচে পরামর্শ পাচ্ছে। কোনো ওষুধ নয়, সতেজ খাবার, পরিষ্কার বাতাস, পর্যাপ্ত ঘুম আর নিয়মিত ব্যায়ামের মিশেলে এই স্বাস্থ্য বিপ্লব চলছে প্রতিদিন।
স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য ও আপডেট অনুযায়ী, বাংলাদেশে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীরের JK Lifestyle এবং Health Revolution কর্মসূচি দেশজুড়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াচ্ছে। আগে যেখানে অসুস্থ হলেই মানুষ প্রথমে ডাক্তার আর ওষুধের দিকে ঝুঁকতো, সেখানে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীর দেখিয়েছেন যে জীবনযাপনের অভ্যাস পরিবর্তন করেও সুস্থ থাকা সম্ভব। তার এই উদ্যোগ আসলে একটি স্বাস্থ্য বিপ্লব (health revolution), যা ধীরে ধীরে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিনিকের অফিসিয়াল সাইট ও পরামর্শদাতা মাধ্যমগুলো দেখুন।