জার্মান কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ডান্সার নোয়েল রবিনসন ভারতের বেঙ্গালুরুর চার্চ স্ট্রিটে নাচের ভিডিও করার সময়ে পুলিশের হাতে সাময়িকভাবে আটক হয়েছেন। ফুল ট্রাফিকের মধ্যে অনুমতি ছাড়া রাস্তায় পারফর্ম করার কারণে জনদরদী পুলিশ তাকে ১৫ মিনিট ধরে আটক রাখে।
নোয়েল তার ইনস্টাগ্রামে পরবর্তীতে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায় পুলিশ মাঝখানে তাকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল এই সময় গাড়ির দরজায় তার মাথা ধাক্কা খায়। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমি ভয় পেয়েছিলাম, মনে হয়েছিল হয়তো জেলে পাঠাবে। তবে সব ঠিক আছে, আমি নিরাপদ আছি এবং আমি ভারতকে ভালোবাসি!’।

পুলিশ জানিয়েছে, জন নিরাপত্তার কারণে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। প্রধানত অনুমতি ছাড়া ভিডিও করার প্রেক্ষাপটে ভয়াবহ ভিড় সৃষ্টি হওয়ার কারণে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়। তবে তাকে মাত্র ১৫ মিনিট থানায় আটকে রাখে বেঙ্গালুরুর পুলিশ এবং শাস্তি স্বরূপ তাকে ২ ডলার অথবা ১৬০ রুপির মত জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে একই দিন আরেক জার্মান ইনফ্লুয়েন্সার ইউনেস জারুও একই কারণে বেঙ্গালুরুর চার্চ স্ট্রিটে কখনও অনুমতি না নিয়ে ভিডিও করার কারণে সাময়িকভাবে আটক হন।
২০০১ সালে জন্ম নেওয়া নোয়েল রবিনসন নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত, তবে বড় হয়েছেন জার্মানিতে। হুপ-হপ এবং ফ্রি-স্টাইলে তার অনন্য পারফরম্যান্স এবং আফ্রো চুল প্রকাশ করার স্টাইলের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। সারা বিশ্বে তার অনুসারি রয়েছে যারা তার বড় বড় চুল সহ নাচের তিব্র অনুসারি।
বিশ্বব্যাপী প্রায় কোটি টিরও বেশি ফলোয়ার তাঁর, ইনস্টাগ্রামে ১১ মিলিয়নের বেশি। তার ভিডিওগুলো ছোট অথচ চমকপ্রদ, যা সামাজিক মাধ্যমে ঝড় হাওয়া সৃষ্টি করে। এমনকি এমনকি বেশ কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশের রাস্তায় ও নেচে মানুষদের বিনোদন দিয়েছিলন নোয়েল রবিনসন। নাচতে দেখা গেছে বাংলাদেশি জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী হৃদি শেখক। এ ছাড়া সংগীতশিল্পী জেফার রহমানের সঙ্গেও একাদিক ভিডিওতে তার সাথে দেখা গিয়েছে।

দু’জন জার্মান ইনফ্লুয়েন্সার একই দিনে একই জিনিসে সমস্যায় পড়ায় বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ ও আইন মেনে চলায় আরও সতর্ক হওয়া দরকার। এবং যত্রতত্র ভিডিও করার আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল।
নোয়েল রবিনসনের বক্তব্য, “Don’t be sorry guys! This could have happened in every country! It’s not about India! One little experience like that won’t take away my love for India” অথাৎ “দুঃদুঃখিত বলার কিছু নেই, বন্ধুরা! এটা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারত! এটা শুধু ভারতের ব্যাপার না! এমন একটিমাত্র অভিজ্ঞতা আমার ভারতের প্রতি ভালোবাসা কেড়ে নিতে পারবে না।” এতে বোঝা যায়, ঐ ঘটনাকে তিনি বড় করে দেখছেন না